CLASS 11 SANSKRIT PROSE PRATIJNASADHANAM | CLASS 11 2ND SEMESTER SANSKRIT (Bengali Version)
Q1. 'पतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশটির কাহিনি উল্লেখ করে গুপ্তচরের প্রধান সংকল্পটি দেবনাগরী লিপিতে লেখো? (Mark : 4+1=5)
❏ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্' পাঠ্যাংশটি আধুনিক সংস্কৃত সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ নামক গদ্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত। হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি-সহ ঝোড়ো বাতাস। ফলে ঝোড়ো বাতাসে ওঠা ধুলো, ঝরে যাওয়া পাতা, শুকনো ফুলে চতুর্দিকের অন্ধকার দ্বিগুণ হয়ে যায়। চারিদিকে শুধুই পর্বতশ্রেণি, বন, জলপ্রপাত, মালভূমি আর উপত্যকা, কোনো সমতলভূমি নেই। ঘন অন্ধকারে পথও দেখা যাচ্ছিল না। ঘোড়ার খুর বারবার মসৃণ পাথরে পিছলে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের ভয়ংকর চিৎকারে সমস্ত আকাশ ব্যাপ্ত হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপদে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েও তিনি নিজকর্তব্য পালনে অটল থেকে স্থির চিত্তে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হয়েছেন। প্রতিজ্ঞা করেছেন –‘দেহং বা পাতয়েয়ং কার্যং বা সাধয়েয়ম্'। এইরকম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও অনুগত এক গুপ্তচরের নিরলস কর্মপালনের বর্ণনায় রচনাংশটি মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছে।
❏ সংকল্প : 'প্রতিজ্ঞাসাধনম্ পাঠ্যাংশে গুপ্তচরটির প্রধান সংকল্পটি হল— 'कार्य वा साधयेयम्, देहं वा पातयेयम् ।
Q2. 'पतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশ অবলম্বনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বর্ণনা দাও।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनম্' পাঠ্যাংশের প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधনম্' অবলম্বনে পার্বত্য প্রকৃতির দৌরাত্ম্যের একটি বাণীচিত্র অঙ্কন করো।
অথবা, ষোড়শবর্ষীয় যুবকটি যখন পর্বতমালার উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন প্রাকৃতিক অবস্থা কেমন ছিল— তা বর্ণনা করো। (Mark : 5)
❏ ভূমিকা : শাস্ত্র বিশারদ পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাসের ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ পাঠ্যাংশে আমরা বর্ষার সান্ধ্যকালীন পার্বত্য প্রকৃতির এক ভয়ংকর ও সজীব চিত্র পাই। এর প্রতিটি দৃশ্য আমাদের ইন্দ্রিয়ের কাছে বিশেষত শ্রবণেন্দ্রিয় ও দর্শনেন্দ্রিয়ের কাছে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
✱ প্রাকৃতিক দুর্যোগ :
❏ সান্ধ্যকালীন পার্বত্য আকাশের শোভা : আষাঢ়ের এক সন্ধ্যায় শিববীরের বিশ্বস্ত পত্রবাহক অনুচর ঘোড়ায় চড়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাত্রা করেন। এইসময় অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় দিগন্ত লাল হয়েছে, পশ্চিম দিকে সিঁদুর রঙে রাঙা মেঘের আড়ালে সূর্য প্রবেশ করছে, দেখে মনে হচ্ছে যেন সূর্য সিঁদুরের তরলে স্নান করছে—‘অস্তং জিগমিষুর্ভগবান্ ভাস্করঃ সিন্দূর-দ্রব-স্নাতানামিব ...' । এইসময় চড়ুইপাখিরা বাসায় ফিরে আসছে। সন্ধ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশের অন্ধকার ক্রমশ গাঢ় হয়েছে। ঠিক তখনই দেখা যায় পর্বতমালার চারপাশে মেঘের ঘনঘটা। এই পর্বতশ্রেণিতুল্য মেঘরাজি বিস্তৃত হয়ে সমস্ত আকাশকে ঢেকে ফ্যালে।
❏ পার্বত্য বনভূমির দুর্যোগ : রঘুবীর সিংহ যখন ঘোড়ায় চড়ে পর্বতমালায় আরোহণ করছিলেন, তখন হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়। একেই ছিল সন্ধ্যার স্বভাবগত অন্ধকার, তার উপর এই বিপর্যয়ের ফলে তা হয়ে উঠল দ্বিগুণ। ঝড়ে উড়ে আসা ধুলোয়, ঝরে পড়া পাতায় ও ফুলের পরাগে পার্বত্য পথ আচ্ছাদিত হতে লাগল। বনের পর বন, উপত্যকার পর উপত্যকা, অনাবাদি জমি কোথাও আর পথ দেখা যায় না। ক্ষণে ক্ষণে ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে পিছলে যায়। পর্বতের ধাপে ধাপে গাছের ডালপালা সম্মুখে নড়তে থাকে। এই দুর্যোগে যুবকের ঘোড়াটিও তার স্বভাববৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কখনও ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকে, কখনও মাঝরাস্তা থেকে ফিরে আসতে থাকে, আবার কখনও লাফিয়ে চলতে থাকে .... ঘোটকঃ পাদাভ্যামুত্তিষ্ঠতি, কদাচিচ্চলন্নকস্মাৎ পরিবর্ততে, কদাচিদুৎপ্লুত্য চ গচ্ছতি।' একদিকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের শিহরিত করে, কান ফাটিয়ে, বন্যপ্রাণীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে অন্ধকারকে যেমন আগুন দগ্ধ করে, সেইরকম বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। আর অন্যদিকে, আগুনের শিখায় সমস্ত আকাশ আচ্ছাদিত হয়ে গিয়েছে এবং ভয়ংকর শব্দ সমস্ত অরণ্যকে বিদীর্ণ করছে। বর্ষাকালের পার্বত্য বনভূমি এবং তার সঙ্গে এক ঘোড়সওয়ারের কঠোর সংগ্রামের যে বর্ণনা কবির বাণীচিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তা যেন এক ভয়ানক সজীব চিত্র। কবির ভাষার লালিত্যে, ভাবের গাম্ভীর্যে এবং বর্ণনার চমৎকারিত্বে দুর্গম ও দুঃসাহসিক পার্বত্য পথযাত্রা যেন রূপোলি এক চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে।
Q3. 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশে উল্লিখিত যুবকটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनम्' কাহিনিতে উপস্থিত নায়কের চরিত্র চিত্রণ করো।
অথবা, দৌত্যকর্মে নিযুক্ত যুবকটির চরিত্রের পরিচয় দাও।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশে উল্লিখিত সায়ংসন্ধ্যার বর্ণনা দাও। (Mark : 5)
❏ আচার্য অম্বিকাদত্তব্যাস প্রণীত পাঠ্যাংশের একমাত্র চরিত্র হলেন শিববীরের বিশ্বাসপাত্র, যিনি রঘুবীর সিংহ নামে পরিচিত।
✱ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :
① পরিশ্রমী : শিবাজির অনুচরের সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় প্রথমেই চোখে পড়ে তার পরিশ্রমী গুণটি। তিনি আষাঢ়ের এক সন্ধ্যায় তার প্রভুর গোপনীয় একটি পত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায় দুর্গম পার্বত্য পথে রওনা দিয়েছিলেন।
② কর্তব্যপরায়ণতা : যুবকটি শুধুই যে পরিশ্রমী ছিলেন, তা নয়। তিনি ছিলেন একজন সুদর্শন যুবক, যিনি নিজের উপভোগ্য জীবনকে ত্যাগ করে কর্তব্যকর্ম ও দেশপ্রেমের তাগিদে সায়ংকালে বনাঞ্চল ও পার্বত্য উপত্যকাকে অতিক্রম করার সময় ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনা তার সংগ্রামী মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
③ আনুগত্য : তিনি ছিলেন একজন ধৈর্যশীল অনুগত অনুচর। প্রতি মুহূর্তে ঘনান্ধকার পার্বত্য পথের ঝড়ঝঞ্ঝাকে উপেক্ষা করে গিয়েছেন। ধৈর্যহারা হয়ে নিজের কর্তব্যকর্ম থেকে পিছপা হননি।
④ সাহসিকতা : শিববীরের বিশ্বস্ত অনুচরটির ছিল অদম্য সাহস। তিনি একাকী পর্বতমালার উপর দিয়ে পত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছিলেন। চতুর্দিক ছিল ঘন অন্ধকারে আবৃত, ফলে ভালো করে পথও দেখা যাচ্ছিল না। মেঘে ঢাকা আকাশ এবং বিদ্যুতের ভয়ংকর গর্জনে চতুর্দিক ভরে গিয়েছিল। ঘোড়ার খুর পাথরে বারবার পিছলে যাচ্ছিল, যে-কোনো মুহূর্তে তার মৃত্যু হতে পারে— তা সত্ত্বেও সাহসী চিত্তের অধিকারী এই যুবক নিজ কার্য থেকে বিরত হননি।
⑤ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : শিবাজির গুপ্তচর ছিলেন সৎ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যখন যুবকটি যাত্রা শুরু করেছিলেন, তখন ছিল সন্ধ্যার সময় এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। পার্বত্য পথ অত্যন্ত দুর্গম ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসন্ন জেনেও, তিনি নিজ প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থে দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে নিজ কার্য সম্পন্ন করতে বেরিয়েছিলেন।
⑥ স্বার্থহীনতা : প্রবাদ আছে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা'। কিন্তু গুপ্তচরের চরিত্রে এই স্বার্থপরতা ছিল না। তিনি নিজের প্রাণকে উপেক্ষা করে দৃঢ়চিত্তে ও দৃঢ়সংকল্প নিয়ে দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে গিয়েছেন। তার আদর্শ হল—‘কার্যং বা সাধয়েয়ম্ দেহং বা পাতয়েয়ম্’, অর্থাৎ ‘কার্য সম্পাদন করব অথবা প্রাণ বিসর্জন দেব'।
❏ উপসংহার : পরিশেষে উল্লেখযোগ্য, যার প্রভু শিবাজি স্বয়ং পরিশ্রমী, সাহসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং বিপদকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন, তাঁর অনুচর রঘুবীর সিংহের চরিত্রের মধ্যেও যে এই গুণগুলি থাকবে; সেটাই স্বাভাবিক।
Q3. 'हरितेनैव च कञ्चुकेन प्रकटीकृत व्यूढगूढचरता - कार्य:- উদ্ধৃতাংশে 'हरितेन' ও 'कञ्चुकेन' পদের দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? এখানে 'व्यूढगूढचरता - कार्य: ' বলতে কোন কার্যের কথা বলা হয়েছে— পাঠ্যাংশানুসারে ব্যাখ্যা করো। (Mark : 2+3 = 5)
❏ পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ গদ্যকাব্যাংশ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।
❏ ‘হরিতেন’ ও ‘কঞ্চুকেন’ : ‘হরিত' শব্দের অর্থ হল সবুজ এবং ‘কক’ শব্দের অর্থ বর্ম বা খোলস। আলোচ্যাংশে ‘কঞ্চুকের' (বিশেষ্য পদ) বিশেষণ হরিত। ‘হরিতেন’ ও ‘‘কঞ্চুকেন’–এই পদ দুটি তৃতীয়া বিভক্তিযুক্ত। এই দুই পদের অর্থ হল, সবুজ বর্মের দ্বারা। এখানে গুপ্তচর রঘুবীর সিংহের পরিচয় হরিত বর্ণের ‘কঞ্চুকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
❏ কার্য : পাঠ্যাংশ অনুসারে, মারাঠা কেশরী শিবাজি এক ষোড়শবর্ষীয় যুবককে তাঁর পত্র দিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে প্রেরণ করেছিলেন। শিবাজি নির্বাচিত ওই বিশ্বস্ত যুবকটি ছিল সুগঠিত দৃঢ় শরীরের অধিকারী। তার মাথার কালো কোঁকড়ানো চুল তার মুখমণ্ডলের শোভা বৃদ্ধি করেছিল। নিজের কাছে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে – ‘কার্যং বা সাধয়েয়ম্, দেহং বা পাতয়েয়ম্’, অর্থাৎ ‘কার্য সম্পাদন করব বা আমি আমার দেহ বিসর্জন দেব ’। তাই প্রভুর আদেশ মেনে তার কার্যবৃত্তির নিয়ম অনুযায়ী সবুজ পাগড়ি ও বর্ম বা পোশাক পরিধানের মাধ্যমে গুপ্তচর হওয়ার কথা প্রকাশ করে কার্যসম্পাদনে ব্রতী হয়েছিলেন।
Q4. 'प्रतिज्ञासाधनम्' - এর রচয়িতা কে? এই পাঠ্যাংশটিতে যে ভৌগোলিক বর্ণনা রয়েছে- তা নিজের ভাষায় লেখো। (Mark : 1+4 = 5)
❏ ভূমিকা : পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্য থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্যাংশ হল ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’। অর্থাৎ অম্বিকাদত্তব্যাস-ই হলেন 'প্রতিজ্ঞাসাধনম্' গদ্যকাব্যাংশের রচয়িতা।
❏ ভৌগোলিক বর্ণনা :
✱ প্রসঙ্গ : কবি অম্বিকাদত্তব্যাস তাঁর ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্যে ছত্রপতি শিবাজির উত্থানের কাহিনি বর্ণনা করেছেন। মারাঠা শক্তি উত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ, তাদের অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান। আলোচ্য পাঠ্যাংশে সেই ভৌগোলিক দিকগুলি প্রদর্শিত হয়েছে। তা ছাড়া পাঠ্যাংশে লেখকের ভৌগোলিক জ্ঞানের বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়।
✱ ব্যাখ্যা : পাঠ্যাংশ অনুযায়ী, রঘুবীর সিংহ তার প্রভু শিবাজির পত্র নিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাচ্ছিলেন। তখন আষাঢ় মাস অর্থাৎ ঋতুবৈচিত্র্যানুযায়ী বর্ষাকাল, ফলত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। আবার প্রবল ঝড়বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল। মূলত মারাঠাদের অঞ্চল ছিল পর্বতমালা দ্বারা আবৃত। তাই পাঠ্যাংশে যুবকের যাত্রাপথে বন পর্বত, জলপ্রপাত, মালভূমি আর উপত্যকার পর উপত্যকার কথা বলা হয়েছে। ব্যাসজি এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান যুবকের দুর্গম যাত্রাপথের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। আলোচ্য পাঠ্যাংশে অশ্বারোহী যুবকের চরিত্রের মাধ্যমে তিনি এই ভৌগোলিক অবস্থানে মারাঠাদের কঠোর জীবন-জীবিকার দিকটিও আলোকপাত করেছেন।
Q5. 'कार्य वा साधयेयम्, देहं वा पातयेयम्।'- পাঠ্যাংশ অবলম্বনে সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা বা তাৎপর্য লেখো? (Mark : 5)
❏ আলোচ্য প্রতি জ্ঞাসূচক মর্মবাণীটি সাহিত্যাচার্য অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্য ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ শীর্ষক গদ্যকাব্যাংশ থেকে সংগৃহীত।
❏ প্রসঙ্গ : শিববীরের এক বিশ্বস্ত অনুচর রঘুবীর সিংহ প্রভুর আজ্ঞায় একটি পত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে রওনা হন। সন্ধ্যাকালীন আষাঢ়ে পাহাড়ি পথঘাট দুর্গম হয়ে ওঠে— যে-কোনো সময় প্রাণসংকট হওয়ার সম্ভাবনা। তবুও এই বীর যোদ্ধা প্রভুর আজ্ঞা রক্ষার্থে নিজের কর্তব্য সাধন করতে যে প্রতিজ্ঞা করেন, আলোচ্য উক্তিতে তা নিহিত আছে।
❏ তাৎপর্য: দৃঢ়সংকল্প নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই দুরূহ কার্য সম্পাদন করা যায়। কারণ পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। এই শ্রমের দ্বারাই ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব, যা শ্রমহীন বা শ্রমবিমুখ মানুষের কাছে অকল্পনীয় বলে মনে হয়। তাই যে-কোনো সাফল্যের প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম।
বাঙালি সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন ঘোষ ছিলেন একাধারে লেখক ও সাংবাদিক। তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তাঁর রচনাবলি মূলত দর্শনভিত্তিক ও সমাজকেন্দ্রিক। কালীপ্রসন্ন ঘোষ বিখ্যাত সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন ঘোষের অমর বাণী — ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার।' এই বিষয়ে ইংরেজিতেও একটি প্রবাদ আছে— 'Man is architect of his own fortune' অর্থাৎ ‘মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্যের নিয়ন্তা’–যার জন্য প্রয়োজন দৃঢ়সংকল্পের সঙ্গে কঠিন শ্রম ও অদম্য সাহস। আলোচ্য পাঠ্যাংশে শিববীরের বিশ্বস্ত যুবকের ছিল অদম্য সাহস। একনিষ্ঠ কর্তব্য, দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রতিকূলতাকে জয় করে তোরণদুর্গে পত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন।
Q6. 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশটি কোন গদ্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত? কাব্যটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়-সহ কাব্যগুণ বর্ণনা করো।
(Mark : 1+2+2=5)
❏ উৎস : ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্' পাঠ্যাংশটি আধুনিক সংস্কৃত সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজ বিজয়ম্’ নামক গদ্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত।
❏ শিবরাজবিজয়ম্-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় : মারাঠা কেশরী ছত্রপতি শিবাজির চরিত্র অবলম্বনে রচিত ‘শিবরাজবিজয়' হল ঐতিহাসিক গদ্যকাব্য। সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্রের লক্ষণানুসারে এটি আখ্যায়িকা শ্রেণির গদ্যকাব্য। সমগ্র কাব্যটি তিনটি বিরামে রচিত এবং প্রতিটি বিরাম আবার চারটি করে নিঃশ্বাসে বিভক্ত, নায়ক শিবাজির নামানুসারেই কাব্যটির নামকরণ করা হয়েছে।
❏ বিষয়বস্তু : ‘শিবরাজবিজয়'গ্রন্থের কাহিনি ইতিহাস আধারিত। ইংরেজ শাসকের সঙ্গে শিবাজির নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এই কাব্যটির বিষয়। কাব্যের নায়ক শিববীর অর্থাৎ শিবাজি এবং প্রতিনায়ক হলেন ঔরঙ্গজেব। যবন তথা মোগল শাসনের নাগপাশ থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করতে তৎপর মারাঠা বীর শিবাজির পুণ্য চরিতগাথার বর্ণনা এই গ্রন্থের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়।
❏ কাব্যগুণ : ‘সুকবি’-র প্রথম ঐতিহাসিক উপন্যাস তথা গদ্যকাব্য হল “শিবরাজবিজয়ম্'। বীররসপ্রধান এই কাব্যের রীতি বৈদভী ও গৌড়ী, বিরোধাভাস অলংকারের বিশেষ প্রভাবও লক্ষণীয়। স্বাধীনতার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ শিবাজির অনমনীয় মনোভাব, শৌর্য, রণকৌশল প্রভৃতি বিষয় অসাধারণ কুশলতায়, কাব্যরসসিক্ত ভাষায় চিত্রিত হয়েছে। কাহিনির চরিত্রগুলি জীবন্ত এবং স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। পরম্পরাগত শৈলীর আশ্রয়ে শিবাজি চরিতে রস যোজনা, প্রকৃতি বর্ণনা, অলংকারের প্রয়োগ লক্ষ করা গিয়েছে। পারস্পরিক কথোপকথন ও চরিত্রচিত্রণে কবি অর্বাচীন শৈলীর আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে কাব্যটি প্রাচীন ও আধুনিক ধারার সংগমস্থল হিসেবে বিবেচিত। ‘শিবরাজবিজয়' গদ্যকাব্যে বাণভট্টের কাব্যরীতির সফল প্রয়োগে সুকবি অম্বিকাদত্ত ‘অভিনববাণ’ আখ্যায় ভূষিত হয়েছেন।
Q7. 'स्वेदविन्दुव्रजेन समाच्छादित ... উদ্ধৃতাংশটির দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে? ‘স্বেদবিন্দু শব্দের অর্থ কী? উদ্ধৃতাংশটিতে কোন সৌন্দর্য প্রদর্শিত হয়েছে— তা ব্যাখ্যা করো। (Mark : 1+1+3 = 5)
❏ পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্যের প্রথম বিরামের চতুর্থ নিঃশ্বাস থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্যাংশ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।
❏ উদ্ধৃতাংশটিতে শিবাজির আস্থাভাজন ষোলো বছর বয়সি এক যুবকের কথা বলা হয়েছে।
❏ ‘স্বেদবিন্দু’ শব্দের অর্থ হল ঘামের বিন্দু বা ফোঁটা।
❏ ব্যাখ্যা : মানুষ তার সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য নানা অলংকার পরিধান করে থাকে। আবার কখনও কোনো ব্যক্তির কার্যকলাপ দেখে তার অন্তরের সৌন্দর্য বোঝা যায়। আর সেই কাল্পনিক সৌন্দর্য কাল্পনিক অলংকারেও ভূষিত হয়। আলোচ্য অংশে সেটাই পরিলক্ষিত হয়েছে। শিবাজির আস্থাভাজন বার্তাবাহক ওই যুবক তাঁর পত্র নিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাচ্ছিলেন। যাত্রার শুরুতেই তিনি কার্য সম্পাদনের সংকল্প করে ঘোড়ার পিঠে চড়ে পর্বতমালার উপর দিয়ে চলেছেন। গুপ্তচরের সাজসজ্জায় যদিও কোনো খামতি ছিল না, তবে দীর্ঘপথ অতিক্রম করায় তিনি শ্রান্ত। তাই তার মাথা, কপাল, নাকের ডগা, উপরের ঠোঁট ঘামের বিন্দুতে আবৃত ছিল। তা সত্ত্বেও তার পদ্মের ন্যায় মুখে প্রসন্নতা দেখা গিয়েছিল। আলোচ্য অংশে তার মুখের প্রসন্নতাকে অলংকারের কাল্পনিক সৌন্দর্য হিসেবে দেখানো হয়েছে।
❏ Class 11 2nd Semester Notes Mark : 2
❍ History : Unit -1
❍ Political Science : Unit-1