class 11 sanskrit prose pratijnasadhanam | প্রতিজ্ঞাসাধনম্ (অম্বিকাদত্তব্যাস) SAQ প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ শ্রেণী দ্বিতীয় সেমিস্টার

Pratigyasadhanam Short Question And Answer Class 11 Second Semester 

গদ্যাংশটিতে শিবাজির ষোলো বছর বয়সি এক চরের কাজ সম্পূর্ণ করার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই চরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় একটুও বিচলিত না হয়ে, বিরতি না নিয়ে পাহাড়ি উঁচু-নীচু পথে ঘোড়ার পিঠে চড়ে, সমস্ত দুর্যোগ উপেক্ষা করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যপূরণের তাগিদে। তার প্রতিজ্ঞা সে সঠিক সময়ে তার প্রভুর চিঠি সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করবে অথবা নিজ প্রাণ ত্যাগ করবে।
❏ জন্ম পরিচয় : সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে রাজস্থানের জয়পুর জেলার অন্তর্গত ‘রাবতজী ধূলা’ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অম্বিকাদত্তব্যাসের পিতামহ ছিলেন পরাশর গোত্রীয়, যজুর্বেদীয় এবং ভীড়া বংশীয় পণ্ডিতপ্রবর রাজারাম, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে নিপুণ ছিলেন। রাজারামজীর দুই পুত্র ছিল – দুর্গাদত্ত এবং দেবীদত্ত। পণ্ডিত দুর্গাদত্ত হলেন অম্বিকাদত্তব্যাসের পিতা।অম্বিকাদত্তব্যাস জয়পুরে জন্মগ্রহণ করলেও, তিনি কাশীধামে অধ্যয়ন করেন এবং বিহারের ভাগলপুর, মধুবনী, পাটনা প্রভৃতি স্থানে শিক্ষকতা করেন। অম্বিকাদত্তব্যাস বাল্যকাল থেকে খুবই প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি ২৪ মিনিটে ১০০টি শ্লোক রচনা করতে পারতেন। তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য তিনি নানা উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন, সেগুলি হল— ব্যাস, সাহিত্যাচার্য, ঘটিকাশতক, সুকবি, বিহারভূষণ, ভারতভূষণ, শতাবধান, ভারতরত্ন প্রভৃতি।

❏ সাহিত্যকর্ম : তিনি সংস্কৃত-সহ হিন্দি ভাষাতে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে সংস্কৃত ভাষায় ছোটো-বড়ো ২৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলি হল— (১) গণেশশতকম্ (২) কথাকুসুমম্ (৩) সাংখ্যসাগরসুধা (৪) সংস্কৃতাভ্যাসপুস্তকম্ (৫) পাতঞ্জলপ্রতিবিম্বম্ (৬) প্রাকৃতপ্রবেশিকা (৭) সামবতনাটকম্ (৮) প্রাকৃতগূঢ়শব্দকোষ (৯) রেখাগণিতম্ (১০) রত্নপুরাণম্ (১১) অনুষ্টু লক্ষণোদ্ধারঃ (১২) শিবরাজবিজয়ম্ (১৩) গুপ্তাশুদ্ধিপ্রদর্শনম্ (১৪) বালব্যাকরণম্ (১৫) সমস্যাপূৰ্ত্তিসর্বস্বম্ (১৬) সহস্রনামরামায়ণম্ (১৭) দ্রব্যস্তোত্রম্ (১৮) গদ্যকাব্যমীমাংসা (১৯) দুঃখদুমকুঠারঃ (২০) কুণ্ডলীদর্পণম্ (২১) আর্যভাষাসূত্রকারঃ (২২) ইতিহাসসংক্ষেপঃ (২৩) ধর্মাধর্মকলকলম্ (২৪) পুষ্পোপহারঃ (২৫) অবতারমীমাংসা-কারিকা (২৬) রত্নাষ্টকম্ (২৭) মিত্ৰালাপঃ।

এছাড়া তাঁর হিন্দি ভাষায় রচিত কিছু গ্রন্থ হল ললিতা নাটিকা, মন কী উমংগ, পুষ্পবর্ষা, স্বর্গসভা, ক্ষেত্রকৌশল, গোসঙ্কট, পাবস পচাস, গদ্যকাব্যমীমাংসা, চতুরঙ্গ চাতুরী, আশ্চর্যবৃত্তান্ত প্রভৃতি। পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস তাঁর বিখ্যাত হিন্দি সাহিত্য ‘বিহারী বিহার'-এর শেষে নিজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখে গিয়েছেন। সাহিত্যাচার্য অম্বিকাদত্তব্যাস ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে কাশীধামে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
 পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ নামক ঐতিহাসিক উপন্যাসটি তিনটি বিরামে বিভক্ত। প্রত্যেকটি বিরামে আবার চারটি করে নিঃশ্বাস রয়েছে। আমাদের আলোচ্য ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ নামাঙ্কিত পাঠ্যাংশটি ‘শিবরাজবিজয়ম্’-এর প্রথম বিরামের চতুর্থ নিঃশ্বাস থেকে গৃহীত হয়েছে।

 পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্‌’নামক গ্রন্থের অংশবিশেষ হল ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’শীৰ্ষক গদ্যাংশ। সাহসী, বিশ্বস্ত, পরিশ্রমী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তির সংকল্পিত লক্ষ্য অর্জনে শারীরিক বা প্রাকৃতিক কোনো বাধাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সে জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে। আলোচ্য গদ্যাংশে কর্তব্যপরায়ণতার এই আদর্শই পাঠকসমক্ষে উদ্ভাসিত হয়েছে।

❏ প্রাকৃতিক পরিবেশ : পাঠ্যাংশে আষাঢ় মাসের এক সন্ধ্যার বর্ণনা করা হয়েছে। এই সময় ভগবান সূর্য সিঁদুরগোলা জলে অবগাহনের মতো রক্তিম বর্ণধারী আকাশের পশ্চিম দিক থেকে মেঘের মধ্যে প্রবেশ করছেন। চড়ুইপাখিরা তাদের বাসায় ফিরে আসছে। এমন সময় হঠাৎ আকাশে মেঘ দেখা দেয়। ক্রমশ মেঘ ভয়ংকর আকার ধারণ করে ঘনকালো অন্ধকারে সমস্ত আকাশ ঢেকে ফেলে।

❏ গুপ্তচরের বর্ণনা : এই সময় শিবাজির আস্থাভাজন ও যথাযোগ্য বার্তাবাহক গুপ্তচর ঘোড়ায় চড়ে তাঁরই (শিবাজির) একটি পত্র নিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গের দিকে যাচ্ছেন। গুপ্তচরটি হল ষোলো (১৬) বছর বয়সি এক যুবক। তার গায়ের রং ফরসা, সুগঠিত-দৃঢ় দেহ, ঘনকালো কোঁচকানো কেশগুচ্ছে সজ্জিত কপাল, মনোহর গণ্ডদেশ। দূর থেকে আসার ফলে ক্লান্ত যুবকটির মুখে ঘাম উৎপন্ন হয়েছে, যা ছোটো ছোটো মুক্তোর ন্যায় শোভা পাচ্ছে। রুপোর সুতোয় বোনা সবুজ পাগড়ি আর সবুজ রঙের বর্মে যুবকটি গুপ্তচর হওয়ার কথা জানিয়ে প্রসন্ন মুখে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তার নিজ কর্তব্যপালন করতে এগিয়ে চলেছেন।

❏ প্রতিজ্ঞাসাধন : হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি-সহ ঝোড়ো বাতাস। ফলে ঝোড়ো বাতাসে ওঠা ধুলো, ঝরে যাওয়া পাতা, শুকনো ফুলে চতুর্দিকের অন্ধকার দ্বিগুণ হয়ে যায়। চারিদিকে শুধুই পর্বতশ্রেণি, বন, জলপ্রপাত, মালভূমি আর উপত্যকা, কোনো সমতলভূমি নেই। ঘন অন্ধকারে পথও দেখা যাচ্ছিল না। ঘোড়ার খুর বারবার মসৃণ পাথরে পিছলে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের ভয়ংকর চিৎকারে সমস্ত আকাশ ব্যাপ্ত হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপদে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েও তিনি নিজকর্তব্য পালনে অটল থেকে স্থির চিত্তে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হয়েছেন। প্রতিজ্ঞা করেছেন –‘দেহং বা পাতয়েয়ং কার্যং বা সাধয়েয়ম্'। এইরকম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও অনুগত এক গুপ্তচরের নিরলস কর্মপালনের বর্ণনায় রচনাংশটি মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছে।

❏ নামকরণের নীতি : নামই হল পরিচয়। সেটি ব্যক্তি কিংবা সাহিত্য উভয়ের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। এই নামকরণ বিভিন্ন দিক থেকে হতে পারে— (১) বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে, (২) কখনও প্রধান চরিত্রকে  কেন্দ্র করে, (৩) আবার কখনও ব্যঞ্জনাধর্মী নামকরণও দেখা যায়।

❏ কাহিনি বিশ্লেষণ : ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্ -এর ‘প্রতিজ্ঞা' অর্থাৎ শপথ বা অঙ্গীকার এবং 'সাধন' হল সাধনা বা সম্পাদন বা সিদ্ধি বা কার্যসাধন। গদ্যাংশটিতে পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাসের লেখনীতে কেন্দ্রীয় চরিত্র হল শিবীরের এক বিশ্বাসভাজন দূত (মূল গ্রন্থে রঘুবীর সিংহ) যার অদম্য সাহস-চেষ্টা-উদ্যম-কর্তব্যপরায়ণতা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে হার মানিয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে যোদ্ধা এবং বীরের মূর্ত প্রতীক। ষোলো বছর বয়সি এই গুপ্তচরটি (শিবাজির-ই) চিঠি নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গের দিকে যাচ্ছেন। হঠাৎই শুরু হয় বৃষ্টি-সহ ঝোড়ো বাতাস। চতুর্দিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। চারিদিকে শুধুই পর্বতশ্রেণি, বন, জলপ্রপাত, মালভূমি ও উপত্যকা। কোনো সমতল রাস্তা নেই। অন্ধকারে পথও দেখা যায় না। ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে বারবার পিছলে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও যুবকটি নিজ লক্ষ্যপূরণে অবিচল থেকেছেন।

❏ সার্থকতা : ভারতীয় সংস্কৃতি ও সনাতন আদর্শের প্রতিনিধিস্বরূপ শিবাজির আস্থাভাজন দূত তথা রঘুবীর সিংহ, যিনি নানান প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে যেমন সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি তার উপর অর্পিত দায়িত্বপালনের মর্যাদাও রেখেছেন। দুর্গম পার্বত্য বনভূমি, ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রকৃতি কোনো কিছুই তার গতিরুদ্ধ করতে পারেনি। ‘দেহং বা পাতয়েয়ম্ কার্যং বা সাধয়েয়ম্’-এই শপথবাক্যের মাধ্যম তিনি তার কার্যসাধনের কঠোর ইচ্ছাকে প্রতিপাদন করেছেন। আলোচ্য গদ্যাংশের মাধ্যমে লেখক যে বার্তা দিতে চেয়েছেন, তা হল একনিষ্ঠ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে কঠোর শ্রমে কার্যসাধন। ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ এই শিরোনামের মাধ্যমে কাহিনির মর্মবাণী সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তাই ‘প্রতিজ্ঞার দ্বারা কার্যসাধন' অর্থাৎ ‘প্রতিজ্ঞাসাধন’ এরূপ বিষয়কেন্দ্রিক নামকরণটি যথার্থ ও সার্থক।

PRATIGYASADHANAM VERY IMPORTANT SAQ QUESTION AND ANSWER | CLASS XI 2ND SEMESTER NEW SYLLABUS

প্রতিজ্ঞাসাধনম্ (অম্বিকাদত্তব্যাস) SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণী দ্বিতীয় সেমিস্টার 

১. প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ানকতায় যুবকটি ভয় পাননি কেন? 
(प्राकृतिकर्योगस्य भयानकताया: कारणात्यू वक: किम न भीतरभवत्?) 
▸ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ানকতায় শিববীরের বিশ্বাসভাজন যুবকটি ভীত হননি। কারণ, তিনি ছিলেন তার প্রভুর অনুগত একজন দেশপ্রেমিক। যিনি নিজের জীবনের থেকে কর্তব্যকর্মকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করতেন।

২. 'কৃতপ্রতিজ্ঞোহসৌ—উদ্ধৃতাংশে 'অসৌ' পদের দ্বারা লেখক কাকে বুঝিয়েছেন? তার প্রতিজ্ঞাটি কী ছিল?
 ('कृনप्रतिज्ञोऽसी'-उद्धृतांशे 'असौ' पदेन लेखकः कं बोधयति? तस्य प्रतिज्ञा का आसीत्?)
▸ উদ্ধৃতাংশে ‘অসৌ’ পদের দ্বারা লেখক শিববীরচরকে বুঝিয়েছেন। আমি আমার দেহ বিসর্জন দেব অথবা কার্য সম্পাদন করব শিববীর অনুচরের এইরূপ প্রতিজ্ঞা ছিল।

৩. ‘শিবরাজবিজয়ম' গ্রন্থটি কয়টি ভাগে নিবদয় হয়েছে? এই গ্রন্থের মঙ্গলাচরণে কোন দেবতার মহিমা গীত হয়েছে?
('शिवराजविजयम्' कति भागेषु निबद्ध: ? अस्य ग्रन्थस्य मलाचरणे कय देवस्य महिमा गीयন?)
▸ ‘শিবরাজবিজয়ম্' গ্রন্থটি তিনটি বিরামে ও দ্বাদশ নিঃশ্বাসে নিবদ্ধ হয়েছে। এই গ্রন্থের মঙ্গলাচরণে ভগবান বিষ্ণুর মহিমা গীত হয়েছে।

৪. কবি অম্বিকাদত্ত ব্যাস কতগুলি উপনামে ভূষিত ছিলেন?
(कवि: अम्बिकादत्तव्यासः कतिभिः उपनामभिः अलङ्कृतः आसीत्?)
▸ কবি অম্বিকাদত্তব্যাস অনেক উপনামে ভূষিত ছিলেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটিকাশতক, বিহারভূষণ, ভারতভূষণ, শতাবধান, অভিনববাণ এবং ব্যাস।

৫. চড়ুইপাখিরা কখন বাসায় ফিরছিল? 
(कलविङ्का: कदा नोड प्रतिनिवर्तते स्म?)
▸ আষাঢ় মাসের সন্ধ্যার সময় যখন ভগবান সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে, তখন চড়ুইরা তাদের বাচ্চাদের কিচিরমিচিরপূর্ণ বাসায় ফিরে আসছিল।

৬. পাঠ্যাংশে 'রতৈঃ' পদের দ্বারা কাদের উল্লেখ করা হয়েছে? এই পদটির একটি সংস্কৃত প্রতিশব্দ লেখো।
▸ পাঠ্যাংশে ‘রুতৈঃ’ পদের দ্বারা চটকশাবকদের উল্লেখ করা হয়েছে। এই ‘রুতৈঃ’ পদের সংস্কৃত প্রতিশব্দ হল শব্দৈঃ।

৭.মেঘরাশি কীভাবে শোভা পেত?
(मेघमाला कथं शोभते?)
▸ মেঘরাশি লম্বা শুঁড়যুক্ত গজ-হস্তীদের মতো শোভা পেত, যা দেখতে ছিল ভয়ংকর।

৮. 'প্রতিজ্ঞাসাধনম্ কাহিনিতে কার কোথায় যাত্রার কথা বর্ণিত হয়েছে?
▸ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ কাহিনিতে শিববীরের এক বিশ্বাসী চরের সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গের প্রতি যাত্রাপথের ঘটনার কথা বর্ণিত হয়েছে।

৯.'কোঽপি শিববীরস্য বিশ্বাসপাত্রম–কে ছিলেন শিববীর এবং কে তাঁর বিশ্বাসপাত্র?
▸ শিববীর হলেন ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্যের নায়ক। যাঁর নাম ছত্রপতি শিবাজি (মারাঠা কেশরী)। শিববীরের একজন নিষ্ঠাবান গুপ্তচর হলেন আমাদের পাঠ্যাংশে উল্লিখিত ‘বিশ্বাসপাত্র’। ‘শিবরাজবিজয়ম্’ মূলগ্রন্থে তার নাম রঘুবীর সিংহ।

১০. প্রতিজ্ঞাসাধনম্ গদ্যাংশে উল্লিখিত যুবকটির গমনমার্গের বর্ণনা করো। 
▸ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্' গদ্যাংশে উল্লিখিত যুবকটির যাত্রাপথ সরল ছিল না। চারিদিকে পর্বতশ্রেণির পর পর্বতশ্রেণি, বনের পর বন, চূড়ার পর চূড়া, জলপ্রপাতের পর জলপ্রপাত, মালভূমির পর মালভূমি, উপত্যকার পর উপত্যকা ছিল। কষ্টকর দুর্গম পথ, রাস্তাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না। বৃক্ষশাখায় জর্জরিত পথে প্রতিমুহূর্তে ঘোড়ার খুর চকচকে পাথরের খণ্ডে পিছলে যাচ্ছিল।

১১. ‘পাষাণখণ্ডেষু প্রস্থ লন্তি—কী পিছলে যাচ্ছে? ‘পাষাণ শব্দের সংস্কৃত প্রতিশব্দ লিখে পিছলে যাওয়ার কারণ বর্ণনা করো।
▸ ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে পিছলে যাচ্ছে। ‘পাষাণ’ শব্দের সংস্কৃত প্রতিশব্দ হল প্রস্তরঃ। শিবাজির বিশ্বাসভাজন যুবক যখন তাঁর পত্র নিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে পর্বতশ্রেণির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আষাঢ় মাসের সন্ধ্যাবেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে মসৃণ পাথরে ঘোড়ার খুর পিছলে যাচ্ছিল।

১২. 'স-হুড়হুড়াশব্দং'—হুড়হুড়া শব্দের দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? কীভাবে এই শব্দের উৎপত্তি হল?
('स-हडहडाशब्दः' – 'हडहडा' इति शब्दन कान बुध्यन्ते ? कथम् अयं शब्द: प्रभवति स्म?)
▸ ‘হড়হড়া' শব্দের দ্বারা কম্পমান গাছেদের শব্দকে বোঝানো হয়েছে। যখন শিবাজির বিশ্বাসভাজন যুবক তাঁর পত্র নিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে পর্বতশৃঙ্গের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় এবং অত্যন্ত বেগে বাতাস বইতে থাকে। এর ফলে কাঁপতে থাকা গাছেদের থেকে হড়হড়া শব্দের উৎপত্তি হয়।

১৩. ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্—গল্পানুসারে বন্যপ্রাণীদের কান্নার কারণ নির্ণয় করো। 
▸ আষাঢ় মাসের সন্ধ্যার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন—ঝড়বৃষ্টি, মেঘমালাদের দ্বারা সৃষ্ট মহাঅন্ধকার, গাছেদের কম্পনের হড়হড়া শব্দ—এইসব কারণের জন্য মহান্ধকারাচ্ছন্ন বন্যপ্রাণীরা কেঁদে উঠেছিল।

 Class 11 2nd Semester Notes Mark : 2
❍ History : Unit -1
❍ Political Science : Unit-1
_________________________________


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন